শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন

ইট-পাথরের সেতুতে বাঁশের রেলিং

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম॥ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির সামনে খালের ওপর ২০ বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। তবে ৭ বছর ধরে সেতুর রেলিং ভেঙে যাওয়ায় বাঁশের রেলিং দিয়েই যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার মারিয়ালয় গ্রাম থেকে ধামারণ গ্রামের রহিমগঞ্জ বাজার সংযোগ সড়কের ওপর নির্মিত সেতুটি দিয়ে পাশের আলদি, শিমুলিয়া, চাপ, লাখারং, কাঁঠাদিয়া, ধীপুর, বাড়েইপাড়াসহ আশপাশের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। তাছাড়া সেতুর পূর্ব পান্তে রয়েছে দক্ষিণ শিমুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত এ সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।

স্থানীয়রা বলেছেন, প্রায় ২০ বছর আগে খালের ওপর নির্মাণ করা হয় সেতুটি। ৭ বছর ধরে সেতুর উত্তর পাশের রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। দক্ষিণ পাশের রেলিংটিও কয়েকটি স্থানে ভেঙে পড়ছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর নির্মিত সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অনেক যানবাহন যাতায়াত করে। তাছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করায় তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রতি বছরই সেতুর রেলিংয়ে বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, খালের ওপর নির্মিত সেতুর উত্তর পাশের লম্বা রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। কিন্তু খাড়াভাবে কিছু রড দাঁড়িয়ে আছে। ওই রডের মধ্যে বাঁশ বেঁধে রেলিং হিসেবে ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা। দক্ষিণ পাশের রেলিং স্থানে স্থানে খসে পড়ে রড বের হয়ে আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রিপন মল্লিক বলেন, ২০ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এরপর আর সংস্কার করেনি। প্রায় ৭ বছর আগে রেলিং ভেঙে রয়েছে। কিন্তু সেতুটি ঠিক করা হচ্ছে না।

খোকন হালদার নামে আরেকজন বলেন, সেতুর পূর্ব পাশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিদিন এই এলাকার শিশুরা এই সেতু দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। শিশুরা যাতে সেতু থেকে পানিতে পড়ে না যায়, সেজন্য গ্রামবাসী বাঁশ দিয়ে সেতুতে রেলিং দিয়েছে। তারপরও দুর্ঘটনার আশা করা হচ্ছে।

নাজমুল ফকির নামে একজন বলেন, সেতু হওয়ার পর আর কেউ খোঁজ নিয়ে দেখেনি ঠিক আছে কি না। এ সেতু দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়ত করে। বিশেষ করে কাঁঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও পাশের রহিমগঞ্জ বাজারে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। এছাড়া স্কুলে যেতে শিশুরা এ সেতু ব্যবহার করে। শিগগিরই সেতুটির সংস্কার দরকার।

টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন,বাঁশের রেলিং দেওয়া সেতুটির বিষয় খোঁজ-খবর নেওয়া হবে। আমরা ২২-২৩ অর্থবছরের জন্য উপজেলার ১৪-১৫টি সেতু সংস্কারের জন্য খসড়া করেছি। এতে কাঁঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের দুটি সেতু সংস্কারের জন্য রাখা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com